নন্টে ফন্টে


বাংলা কমিকস পাঠকদের কাছে নন্টে ফন্টে একটি অতি পরিচিত নাম - নারায়ন দেবনাথের অবিস্মরনীয় সৃষ্টি নন্টে ফন্টে সর্বপ্রথম কিশোর ভারতী পত্রিকার জন্য রচিত ও বিচিত্রিত হয়, তার পরে এটিকে পত্র ভারতী প্রকাশনী যারা কিশোর ভারতীর ও প্রকাশক, তারা বই আকারে প্রকাশ করে থাকে | পরবর্ত্তি কালে নন্টে ফন্টেকে নিয়ে কার্টুন সিরিয়ালও বানানো হয়েছে |
নন্টে ফন্টের সমস্ত গল্প একটি অনামী মফস্বল শহরকে ঘিরে - এই দুটি চরিত্র ওই শহরের একটি বোর্ডিং স্কুলে পড়ে ও সেখানকার হোস্টেল এ থাকে| নন্টে ফন্টের প্রায় সমস্ত গল্পেই ওই বোর্ডিং স্কুলের বিভিন্ন চরিত্ররা যেমন সুপারিন্তেন্দেন্ট স্যার, কেল্টু'দা, রান্নার ঠাকুর ও তাদের অন্যান্য সহপাঠীরা হাজির আছে | আসুন - একে একে এই গল্পের সমস্ত চরিত্রদের সাথে আপনার পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক |

নন্টে

নন্টের বছর ষোলোর একটি ছেলে - সে কমলা জামা পরে, তার চুলের সামনে কিছুটা ঝুলে থাকে এবং মাথার পিছনে কিছুটা চুল টিকির মত বেরিয়ে থাকে|

ফন্টে

ফন্টের চেহারা নন্টের মতই, কেবল তাদের ভিতরে অমিল বলতে, তার চুলে নন্টের মত তেমন কারু-কার্য্য নেই আর সে বেশিরভাগ সময়ে নিল রঙের জামা পরে থাকে | ফন্টের বয়স বছর পনের| নন্টে আর ফন্টের নামের আর চেহারার মিল থাকলেও আসলে তারা কিন্তু পরস্পরের যমজ ভাই নয় বা তাদের মধ্যে কোনো আত্মীয়তা নেই|
নন্টে আর ফন্টেই এই গল্পগুলির প্রধান চরিত্র, এরা সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরের ছেলেদের মতই সরল সাধারণ আর সামান্য একটু দুষ্টু |

কেল্টু'দা

ওই বোর্ডিং স্কুলের সব থেকে দুষ্টু ছেলে হলো কেল্টু'দা এবং সেই এই গল্পগুলির প্রধান ভিলেন | কেল্টু'দার বয়স প্রায় উনিশ বছর, মাথার চুল কোকড়া - ঢ্যাঙ্গা লম্বা প্যাংলা চেহারা, লোভী, প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে|
ওই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে একমাত্র কেল্তুদাই কেবল ফুলপ্যান্ট পরে | কেল্টুদা' ক্লাস নাইনে ছ'বছর ফেল করে আপাতত নন্টে ফন্টের সাথে একসাথে পড়ছে | অন্য ছাত্রদের টিফিন খেয়ে নেওয়া বা তাদের বাড়ি থেকে পাঠানো স্পেসাল খাবার-দাবার বাজেয়াপ্ত করার জন্য সে সবসময়ে নানা রকম মতলব ভাজতে থাকে |

সুপারিন্তেন্দেন্ট স্যার

পঞ্চাশ বছর বয়সী মোটা ভুড়ি-ওয়ালা টেকো সুপারিন্তেন্দেন্ট স্যার কে নন্টে ফন্টের প্রায় সমস্ত গল্পের শেষে কেল্টুদা'র পিছনে দৌড়তে দেখা যায়, কারণ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কেল্টুদা'র বানানো যত প্ল্যান সব বুমেরাং হয়ে এনাকেই বিপদে ফেলে| ইনি খেতে খুব ভালোবাসেন আর ভালোবাসেন ছাত্রদের বেত মেরে শায়েস্তা করতে |

ঠাকুর

নন্টে আর ফন্টেকে "নন্টুয়া আউর ফন্টুয়া" বলেন যিনি - তিনি এই বোর্ডিং স্কুলের রান্নার ঠাকুর - মানুষটি অবাঙালি, কিন্তু ইনি উড়িয়া নাকি বিহারী নাকি অন্য কোনো রাজ্যের মানুষ তা আমরা জানি না | ঠাকুর সুপারিন্তেন্দেন্টএর খুব কাছের মানুষ, কিন্তু মাঝে মধ্যে এনার দুরভিসন্ধির জন্য এনাকে সুপারিন্তেন্দেন্টএর কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয় |

অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্র

এছাড়াও নন্টে ফন্টের নানান গল্পে আমরা ওদের ক্লাসের ওর বোর্ডিং স্কুলের অন্যান্য সহপাঠীদের দেখতে পাই - যেমন নেপচ দা, লেংচা বা বোঁচা

নন্টে ফন্টের সমস্ত গল্প